১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বালাগঞ্জ উপজেলার ছয় ইউপিতে ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত বুধবার প্রতীক পাওয়ার পর আটঘাট বেঁধে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকেরা।
তাঁরা ইতিমধ্যে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করছেন।
বালাগঞ্জ ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুনেদ মিয়া নৌকা এবং বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম আনারস পেয়েছেন।
দেওয়ানবাজার ইউপিতে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ছহুল এ মুনিম নৌকা ও বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
বোয়ালজুড় ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আনহার মিয়া নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক মিয়া ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন।
পশ্চিম গৌরীপুর ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মধু নৌকা, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান মাখন আনারস, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুকিত শরীফ ঘোড়া এবং মুশাহিদ শিকদার চশমা প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
পূর্ব পৈলনপুর ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন নৌকা, বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন ঘোড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম জিতু আনারস, মারুফ মিয়া মোটরসাইকেল এবং খেলাফত মজলিশের মিছবাহ উদ্দিন মিছলু দেয়াল ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
পূর্ব গৌরীপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস নৌকা, বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান আনারস, স্বতন্ত্র প্রার্থী তামিমুল করীম চশমা, আব্দুল মতিন ঘোড়া এবং ইসলামী আন্দোলনের আওলাদ মিয়া হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন।
এদিকে, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী–সমর্থকেরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। তাঁরা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। উন্নয়নের কথা বলে ভোট চাইছেন।
বর্তমান চেয়ারম্যানেরা তাঁদের গত দিনের সাফল্য তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে নবীন প্রার্থীরা তাঁদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরে ভোট চাইছেন।