আগৈলঝাড়ায় জ্বালানি সংকট থেকে বাঁচতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ এখন গোবর দিয়ে শলার লাকড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তুলনামূলক কম খরচ হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে উপজেলায়।
জানা গেছে গোবরের কম্পোস্ট সার খুবই উৎকৃষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা জমিতে দিয়ে ভালো ফল পান। তাই কৃষকদের মধ্যে গোবরের কদর থাকে সব সময়। তবে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীরা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গোবর ব্যবহার করছেন।
গৈলা গ্রামের মিনাল সমদ্দার জানান, দফায় দফায় গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে জ্বালানি কাঠের ওপর দিন দিন চাপ বেড়েই চলেছে। এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গোবরের তৈরি মুইঠ্যা বা শলার লাকড়ি।
গৈলা গ্রামের গৃহিণী মেরী হালদার জানান, গোবরের শলার তৈরি লাকড়ি এমন এক প্রকার জ্বালানি যা তৈরি করা খুবই সহজ। খরচ কম। উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন গরু বা মহিষের গোবর, পাটখড়ি, ধানের তুষ (কুড়া)।
জানা যায়, কিছুদিন আগেও এর ব্যবহার কেবল গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে জ্বালানি সংকট ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রাম ছাড়িয়ে শহরেও গোবরের শলার লাকড়ির কদর বেড়েছে।