রংপুরের মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানের অবসরের সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি চেয়ার ছাড়ছেন না। তাঁর দাবি, তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলেও আতিয়ার রহমান সাড়া দেননি। তাঁর স্বাক্ষরিত বিলপত্র গৃহীত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা গত ঈদুল আজহায় বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আতিয়ার রহমানের সর্বশেষ কর্মদিবস ছিল ১৪ জুন। কিন্তু তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন, বসছেন প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে।
চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাত দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য ২৩ জুন চিঠি দেন। এই চিঠি পাওয়ার পরও আতিয়ার রহমান দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একই বিষয়ে ১৭ জুলাই চিঠি দেন।
শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত বিলপত্র গ্রহণ করেননি সোনালী ব্যাংক মিঠাপুকুর শাখার ব্যবস্থাপক। এর ফলে ঈদে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, ঈদে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আতিয়ার রহমান গতকাল বুধবার পর্যন্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আতিয়ার জানান, তাঁর চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন।