হোম > ছাপা সংস্করণ

মহাসংকটে টাঙ্গুয়ার হাওর

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। হারিয়ে যাচ্ছে মিঠা পানির মাছ ও পরিযায়ী পাখি। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।

ঘনিয়া ও লাচ প্রজাতির মাছ একমাত্র এই হাওরেই পাওয়া যায়। কিন্তু এসব মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। রাতের আঁধারে হাওরে হিজল, করচগাছ কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গাছ উজাড় হওয়ায় আবাসস্থল হারাচ্ছে পাখি। কমছে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। অবৈধ কারেন্ট জাল, ভেটজাল, লাঠিজালসহ বিভিন্ন জাল দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ নৌকা এখানে মাছ ধরে। মাছ ধরার নিয়মনীতি না মেনে মাটি ঘেঁষে জাল টানার কারণে হাওরের নিচে থাকা জলজ প্রাণ এবং বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর প্লাস্টিক চাঁই (মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ) দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার। এ ছাড়া টেকেরঘাট ও চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আসা কয়লার বস্তা ধোয়ায় পানিদূষণ বাড়ছে।

পর্যটকবাহী ও বালু-পাথরবোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকার অবাধে চলাচল করছে। পর্যটকদের ব্যবহার করা প্লাস্টিক বর্জ্য হাওরে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে সরকার। এরপরই হাওরে দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির অবসান হয়। ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি হাওর এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পর থেকে উত্তরণের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বর্তমানে উল্টো সংকটাপন্ন থেকে বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরকে রামসার সাইট ঘোষণা করা হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) ২০০৬ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরে সমাজভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা কাজ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যবিজ্ঞানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে ৯৩ প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছি। বাকিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধু মাছ নয়; রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হাওরের প্রাকৃতিক সব সম্পদ বিলুপ্তি ও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এটি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

আইইউসিএনের উদ্যোগে হাওরপারের ৪১টি গ্রামের জেলেদের নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ কবির বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় আগের মতো টহল নেই।

অব্যবস্থাপনা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই সম্পদ বিনষ্টের পথে বলে জানান তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, ‘গাছ কাটা, মাছ ধরার খবর পেয়েছি। আমরা এসব বন্ধে অভিযানও চালাচ্ছি। আমরা হাওরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা ও গবেষণা করছি।’ 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন