বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠান ‘ডোম ইনো’র বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল শনিবার সকালে ‘ভুক্তভোগী জমির মালিক’দের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। এ সময় তাঁরা সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন আদনান সোবহান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ডোম ইনোর কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়ে শতাধিক মামলা হয়েছে। মামলার পরও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। উল্টো আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে অথবা তিল তিল করে কষ্টের উপার্জনে রাজধানীর বুকে একখণ্ড জমির মালিকানা লাভ করেছি।
অথচ এ জমি নিয়ে প্রত্যেকে আজ ভয়াবহ সংকটে আছি। নিজের জমির ওপর ভবন তৈরির লক্ষ্যে এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। এখন বছরের পর বছর কাজ না করে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিজের জমি পাচ্ছি না; আবার ফ্ল্যাটের দখলও পাচ্ছি না।’
আদনান সোবহান বলেন, একটি আবাসিক বহুতল ভবন নির্মাণে সব মিলিয়ে তিন বছরের মতো সময় লাগে। কিন্তু ডোম ইনো চুক্তি করে ১২ থেকে ১৬ বছর ধরে তা শেষ করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগী হুমায়ূন হাসান বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভবন হস্তান্তর করতে না পারলে প্রতি মাসে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো জমির মালিককেই অর্থ পরিশোধ করেনি ডোম ইনো।
বাধ্য হয়ে জমির মালিকেরা কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন। ডোম ইনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ১৩৬টি মামলা করেছে ভুক্তভোগীরা। থানা-পুলিশ করেও আমরা কিছুই করতে পারছি না। তাই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।’
এ বিষয়ে জানতে ডোম ইনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।