পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ বুধবার। আরবি ১৪৪৩ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল। এদিন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন। মুসলিম উম্মাহর কাছে এই দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পরিচিত।
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম, বেড়ে ওঠা, নবুয়ত, হিজরত, রাষ্ট্রগঠন, ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক জীবন, সমাজসংস্কারসহ জন্ম থেকে ওফাত পর্যন্ত জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছে।
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কার বিখ্যাত কোরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার ‘সুবহে সাদেক’-এর সময় জন্মগ্রহণ করেন। আবার একই দিনে তিনি ওফাত লাভ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বিশ্বশান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথপ্রদর্শক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার। অনুষ্ঠান শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন। ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।