দেবিদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল আউয়ালের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীককে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবমাননা করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর এমন বক্তব্যের ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী।
জানা গেছে, ১২ ডিসেম্বর রাতে মো. আবদুল আউয়াল বড় শালঘর ইউনিয়নে তাঁর একটি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি নৌকা প্রতীক না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ইঙ্গিত দেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পেলে যে অনেক কিছু হয়ে যাবে, তা না। আর নৌকা না পেলে আমিও একবারে পেছনে পড়ে যাব তা-ও না। এখানে উপস্থিত প্রত্যেকে ভোটার না। আপনারা সক্রিয় ভূমিকা রাখলে কীসের নৌকা কীসের ছাতা, যে প্রতীক পাই না কেন—আমি নির্বাচন করব।’ তাঁর এমন বক্তব্যের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থেকে নৌকা প্রতীককে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এটি নৌকা প্রতীককে অবমাননার পর্যায়ে পড়ে।
তাঁরা আরও বলেন, আবদুল আউয়াল ২০০৮ সাল পর্যন্ত বড়শালঘর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। বিএনপি ক্ষমতা হারালে তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।
অভিযুক্ত আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আগে নৌকা প্রতীক ছাড়া ছাতা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিয়েছেন আনারস প্রতীক। আমি ভোটারদের বোঝাতে বলেছি, যদি নৌকা বা ছাতা নাও পাই, আপনারা আমার কর্মী হিসেবে থাকবেন।’
বড়শালঘর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। এটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।’