Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ফলন বিপর্যয়ে দিশেহারা চাষি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

ফলন বিপর্যয়ে দিশেহারা চাষি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শরীয়তপুরের মরিচচাষিরা। উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা। ফলন কম হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মরিচচাষিরা।

অসময়ের বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের সঙ্গে উচ্চ মূল্যে সার, বীজ আর সেচ খরচে পুঁজি হারিয়েছেন বলে দাবি চাষিদের।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শরীয়তপুরে ৬ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন। জেলার ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচের আবাদ হয়। মৌসুম শুরুর দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অসময়ের ভারী বৃষ্টির কারণে মরিচখেতে পানি জমে বেশ কিছু এলাকার মরিচগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে চলতি মৌসুমে মরিচের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মরিচের উৎপাদন অন্তত ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কৃষক বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে পারেন।

জেলার ভেদরগঞ্জের পদ্মার মধ্যে থাকা দুর্গম চর কাচিকাটায় প্রচুর পরিমাণে মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। চরাঞ্চলের কিষান-কিষানি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠ থেকে মরিচ তোলার কাজে। তবে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। অসময়ের বৃষ্টিতে ভেসে গেছে এখানকার কৃষকের স্বপ্ন। মরিচের উৎপাদন কমেছে অর্ধেকের কাছাকাছি। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছে এই চরের প্রতিটি কৃষিপরিবার।

গত রোববার কাচিকাটার চরজিংকিং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দিগন্তজোড়া মরিচগাছ। মাঠ থেকে কিষান-কিষানি মরিচ তুলছেন। ফসলের মাঠ অতিক্রম করে তাঁদের কাছে যাওয়ার পথে দেখা মিলল ক্ষতিগ্রস্ত মরিচের খেত। অধিকাংশ চারা মারা গেছে। কিছু কিছু চারা বেঁচে থাকলেও তাতে ফলন অর্ধেকের কম। কৃষকেরা জানান, চাষাবাদের শুরুতে বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি আটকে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অন্য বছর একটি খেত থেকে কমপক্ষে তিনবার ফসল তোলা যায়। কিন্তু এ বছর একবার গাছ থেকে মরিচ তোলা গেছে। ফলে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের।

কাচিকাটা চরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাঠ থেকে মরিচ তুলছেন ষাটোর্ধ্ব আব্দুল লতিফ সরদার। তিনি জানান, মরিচগাছের চারা অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে অর্ধেক চারা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যা বেঁচে আছে তাতেও ফলন হয়েছে অন্যবারের তুলনায় অর্ধেকের কম। এই বছর সার, বীজ আর সেচের খরচও উঠবে না।

মরিচখেতে কাজ করা মারুফা আকতার মর্জিনা বলেন, ‘প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মরিচের চাষাবাদ করেছি। বর্ষার কারণে সব ফসল মাইর গেছে। অন্য বছর খেত থেকে তিনবার মরিচ তুলতে পারলেও ফলন কম হওয়ায় এ বছর একবারের বেশি মরিচ তোলা যাবে না। এখন আমরা খামু কী? আর ঋণের টাকা পরিশোধ করব কীভাবে?’

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসূল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরিচ চাষাবাদের শুরুর দিকে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে মরিচসহ তেল ও মসলাজাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কমিয়ে আনতে নিয়মিত কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাজারমূল্য কম থাকায় কৃষক লোকসানের মুখে পড়েছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ