প্রচণ্ড গরমে দিনাজপুরের খানসামায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়া প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের সংকট ও এর দাম বেড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শুধু করোনাভাইরাস নয়, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে উপজেলায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। এক সপ্তাহে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ২ হাজার ৫০০ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ৩০০ রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবার জ্বর ও সর্দির ৪৫০ জন রোগী সেবা নিয়েছেন, আর বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে জ্বর-সর্দির রোগীর সংখ্যা ছিল শতকরা ৮০ ভাগ। অন্যদিকে অন্তবিভাগে ভর্তি হয়ে সেবা নেওয়া রোগীদের মধ্যে জ্বরের শতকরা ৪০ ভাগ। শয্যাসংকটে অনেকে মেঝেতে থেকে সেবা নিচ্ছেন। হঠাৎ জ্বরের রোগী বাড়ায় ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
খানসামার পাকেরহাট এলাকার জামান সেবা নিতে এসেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড জ্বর আর সর্দিতে প্রথমে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে খেয়েছি। এতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেশি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে দেখাতে পেরেছি।’
এদিকে পাকেরহাট এএফআর মেডিসিন মার্টের স্বত্বাধিকারী বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, জ্বরের রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্যারাসিটামলসহ সর্দি-জ্বরের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।
আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশির সঙ্গে বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। এ জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বেশি পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় ভোগা রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বাড়ছে। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ ঠিক আছে। তবে জনবল-সংকটে অনেক রোগীর সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’