বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ফারুক হোসেন মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী সেলিনা পারভিন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেছেন সেলিনা পারভিন। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
তবে ফারুক হোসেন দাবি, তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে বিয়ে নিবন্ধকের সামনে স্বাক্ষর করানো হয়। এ সময় তাকে মারধর করে ছবিও তুলে রাখেন স্ত্রী পক্ষের লোকজনেরা।
কুলিয়ার বালিয়াডাঙা গ্রামের সেলিনা পারভিন জানান, ফারুক হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার থানাঘাটায় বিয়ে নিবন্ধকের মাধ্যমে তাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর বাড়ি আসতেই ফারুক হোসেন তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। সেলিনা পারভিন তাঁকে দুই লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরও ৩ লাখ টাকা না দেওয়ায় বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ফারুক তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সেলিনা পারভিনের অভিযোগ, ফারুক তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি একজন ইউপি সদস্যকে তাদের বাড়িতে এসে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ফারুক এরই মধ্যে সেলিনার বাবা ও ভাইদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ সেলিনার।
অভিযোগের বিষয়ে ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি কাউকে বিয়ে করিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের ঘোষণা দেওয়ানো হয়েছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা।’