নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরে রহিমা খাতুন হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ উদ্ঘাটন এবং ঘটনার একমাত্র আসামি জাকির বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ জন্য কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপশ মণ্ডল ট্রেনে ট্রেনে ফেরিওয়ালা সেজে কখনো বাদাম আবার কখনো মোবাইলের হেডফোন বিক্রি করেছেন। শেষমেশ গত রোববার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে আসামি জাকিরকে আটক করতে সক্ষম হন তাপশ মণ্ডল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাপশ মণ্ডল জানান, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন রহিমা বেগম (৪২)। এ ঘটনায় নিহতের আগের পক্ষের ছেলে হাসানুজ্জান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী জাকির বিশ্বাসকে।
এসআই তাপশ মণ্ড আরও জানান, জাকিরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মাঠে নামলে তিনি কৌশলে বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য নাছোড় বান্দা হয়ে লেগে থাকেন জাকিরের বিষয় বিস্তারিত জানতে। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাকিরের দেশে ফেরার তথ্য নিশ্চিত হন তাপশ। জাকির দেশে ফিরে বিভিন্ন মাজারে মাজারে অবস্থান নেন। পরে জাকির বিশ্বাস ট্রেনে ফেরি করে বাদাম বিক্রি শুরু করেন। তাঁকে ধরতে এসআই তাপশ ও ফেরিওয়ালা সেজে তাঁর পিছু নেন। গত তিন দিন আগে যশোর-রাজশাহীগামী ট্রেনে জাকিরকে পেয়েও অল্পের জন্য পালিয়ে যান। অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় তাপশ মণ্ডল কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহ থেকে জাকির তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন।’