ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে হবিগঞ্জের নয়টি উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দমকা হাওয়ায় ধানগাছ শুয়ে পড়েছে। যদিও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আশঙ্কার চেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে।
ঝোড়ো বাতাসের কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে আমন ধানগাছ। পেঁপেগাছ পেঁপেসহ বাতাসে ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো খেতে।
গতকাল বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিখেতও ক্ষতির মুখে পড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ৮৮ হাজার ৮৫৮ হেক্টর জমিতে এবার রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২০০ হেক্টর রোপা আমনের ধান শুয়ে পড়েছে। ৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি হেলে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষকেরা বলছেন, ধানে যেন ঝড়-বৃষ্টি মই দিয়েছে।
লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের ফয়সাল মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গুণিপুর গ্রামের আবুল কালাম বলেন, সিত্রাং ঝড় ও বৃষ্টির কারণে পাকা ধান জমিতে ভাসছে। সরিষাখেতও পানিতে ভাসছে। ধানসহ বিভিন্ন সবজির খেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফসলি জমি পরিদর্শন করেছি। এখানে কলা, শাকসবজি, পেঁয়াজের বীজতলা ও রোপা আমন ধান তেমন বেশি আক্রান্ত হয়নি। এর মধ্যে ২০০ হেক্টর রোপা আমনখেত নুয়ে পড়েছে এবং ২ থেকে ৩ হেক্টর জমির শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।