গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
টাকা নেওয়ার জন্যই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ শহরের এফকে টেকনিক্যাল কলেজের বারান্দায় খুন করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুক তৈয়ব পেয়াদাকে (৭০)। আর গোয়ালন্দ রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনের যাত্রী ছাউনির ভেতরে কুপিয়ে জখম করা হয় অজ্ঞাতপরিচয়ের আরেক মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুককে। গ্রেপ্তার মো. সাঈদ ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ বিষয়টি জানায়।
গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাঈদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নছর উদ্দিন সরদারপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার মইজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া এলাকা থেকে সাঈদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর আসামির স্বীকারোক্তি ও তার দেওয়া তথ্যমতে জুরান মোল্লাপাড়ার (কলেজপাড়া) উজ্জল সরদারের বাড়ির পাশে ইয়াস কেব্ল নেটওয়ার্ক লিমিটেডের মালিকানাধীন জমির পাশে ঝোপের মধ্য থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিমতে, মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুক তৈয়ব পেয়াদার কাছে থাকা টাকা নেওয়ার সময় বাধা দিলে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঠিক একইভাবে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরেক মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুককেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আসামিরা টাকা ছিনিয়ে নিতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুক তৈয়ব পেয়াদা হত্যা ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরেক মানসিক ভারসাম্যহীন ভিক্ষুককে গুরুতর জখম করার অপরাধে সাঈদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে দোষ শিকার করে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া ওই মামলার আরও দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।