আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। দিনটি এখন আর বাঙালির একার নয়, পুরো বিশ্বের।
গতকাল বইমেলায় দেখা হয়েছিল বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে। অনেক সময় নিয়ে কথা বললেন তিনি। জানালেন, শুধু বই লেখাকেই তিনি ভাষার জন্য কাজ মনে করেন না। বাংলা ভাষা এখনো কম্পিউটারে, তথ্যপ্রযুক্তিতে সেভাবে নেই। এই জায়গাগুলোতে কাজ হলে বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধির দিকে এগোবে বলে মনে করেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘোষণামঞ্চের মাইক জানিয়ে দিল অনেক তথ্য। সেগুলো সংগ্রহের জন্য সেদিকে ছুটলাম।
বইমেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গবেষণামূলক বই এসেছে ৩৯টি, ইতিহাসবিষয়ক বই ৫৪টি। মধ্যে কিছু বইয়ে উঠে এসেছে ভাষার কথা, ভাষার ইতিহাস কিংবা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথা। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি উঠে এসেছে গল্প, কবিতা ও উপন্যাসেও। এ পর্যন্ত গল্পের বই এসেছে ২৭৬টি, উপন্যাস ৩৩৫টি, প্রবন্ধের বই ১০৬টি, কবিতার বই ৬৬৮টি।
বইমেলায় মাওলা ব্রাদার্স থেকে দুটি ভাষাভিত্তিক বই বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। একটি হলো আহমদ রফিক সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলনের কথা’, অন্যটি আহমদ রফিক ও বিশ্বজিৎ ঘোষ সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর’। বই দুটি এরই মধ্যে ‘স্টক আউট’ বলে ঘোষণা করেছে মাওলা ব্রাদার্স। এ ছাড়া আগামী প্রকাশনীর বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার দুটি ভাষা, ভাষাতত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক বই প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেগুলো হলো রফিকুল ইসলামের ‘ভাষাতত্ত্ব’ এবং অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকারের ‘বাংলা ভাষার সহজ পাঠ’। বইটি এবার বেশি বিক্রি হয়েছে। ভাষাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ড. মিজান রহমান সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিকথা’ বইটি।
আজ ভোর থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ভাষাশহীদদের প্রতি। সারা দিনই চলবে এই শ্রদ্ধা নিবেদন। ছোট-বড় দলে গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষ অংশ নেবেন এতে। আর এই জনস্রোত ধীরে ধীরে ভিড়বে বইমেলার দিকে।