বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের কারণ অসংক্রামক রোগ। সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু ৩০ ভাগ কমিয়ে আনতে চায়। কিন্তু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারের মত অসংক্রামক রোগ দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ওয়াহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় সহযোগিতা করেছে সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স ও সেভ দি কোস্টাল পিপল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের গবেষনা পরার্শক অধ্যাপক আ ফ ম সরোয়ার এবং সংগঠনটির সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং ডায়বেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে শরীরচর্চা এবং তাজা-সবজির যোগান নিশ্চিতে আইন ও নীতিমালা শক্তিশালি করা জরুরি। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ নাগরিক এ ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মুক্ত আলোচনায় ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল হক নীলু বলেন, পাড়ামহল্লায় শরীর চর্চার ব্যাবস্থা না থাকায় যুবকেরা এ বিষয়ে উৎসাহিত নয়। জেলা পরিষদের সিইও আহসান হাবিব বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে প্রকল্প নিতে পারেন। সেইন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাজী জাহাঙ্গির এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান। ক্যাবের সাধারন সম্পাদক বলেন, ব্রয়লার মুরগীতে হাই এন্টিবায়টিক দেয়।
মাউশি পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন এসব অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বইয়ে কায়িক শ্রম, ব্যায়াম ও তাজা সবজি খাওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে। কিন্তু কোচিং করানো দরকার হয় না বলে অভিভাকেরা এ বইয়ে গুরুত্ব দেন না।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান সভার সমাপনীতে বলেন, ‘অসংক্রামক এসব রোগে আমাদের আশপাশের ৯০ ভাগ মানুষই আক্রান্ত।’ এগুলো নিয়ন্ত্রনে শরীর চর্চা, কায়িক পরিশ্রম ও তাজা শাকসবজির উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. এনামুল হক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহিন খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।