হোম > ছাপা সংস্করণ

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় ছিল। মেলায় পণ্য বিক্রির চেয়ে প্রচারের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরছে নতুন পণ্য ও সেবা সম্পর্কে।

গাজীপুর থেকে পরিবারের আট সদস্য নিয়ে মেলায় এসেছেন ফু-ওয়াং সিরামিকসে কর্মরত মো. রাসেল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেলায় আসার রাস্তাও ভালো, এখন জ্যামও নেই। ৩০০ ফিট রাস্তার ভ্রমণটুকু উপভোগ করা যায়। সব মিলিয়ে ভালোই লাগে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিঝুম মেলায় এসে বেশ উপভোগ করছে বলে জানায়। মেলার কোন বিষয়টি বেশি আকর্ষণ করে জানতে চাইলে নিঝুম বলে, মেলার পুরোটাই ভালো লাগে। নতুন নতুন জিনিস (পণ্য) দেখতে ভালো লাগে।

প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি শুরু হয় বাণিজ্য মেলা। তবে এবার জাতীয় নির্বাচনের কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে মাসব্যাপী এই আয়োজনের পর্দা ওঠে গত ২১ জানুয়ারি। ঢাকার শেরেবাংলা নগরের চিরচেনা প্রাঙ্গণ ছেড়ে তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) বসেছে মেলার ২৮তম আসর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এই আয়োজন করেছে।

মেলার টিকিট ইজারাদার আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান জানান, প্রথম পাঁচ দিন টিকিট বিক্রি ছিল তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে। এরপর বাড়তে থাকে। শুক্র-শনিবার ভিড় বেশি হয়। গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ৪৫ হাজার এবং শনিবার একটু কমে ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। অন্য দিন একটু কম বিক্রি হয়। গত বৃহস্পতিবার ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল।

তবে দর্শনার্থীর সমাগম আরও বেশি বলছে আয়োজক সংস্থা ইপিবি। বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও ইপিবির সচিব বিবেক সরকার বলেন, গত শুক্রবার প্রায় ৭০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল। আজকে এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। গড়ে প্রতিদিন ৪৫ হাজার দর্শনার্থী আসছেন।

এ বিষয়ে আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের পরিচালক অপু বলেন, মেলা-সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও স্থানীয় অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়। সে জন্য টিকিট বিক্রি ও জনসমাগমের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।

আন্তর্জাতিক হলেও মেলায় প্রাধান্য পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান। ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় মোট ৩৫১টি দেশি-বিদেশি স্টল স্থান পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইরান, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ভারত, হংকং ও পাকিস্তানের মিলিয়ে ১৩টি বিদেশি কোম্পানির স্টল রয়েছে।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ কম থাকায় আক্ষেপ ছিল ক্রেতা ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে। দর্শনার্থী আসমা আকতার বলেন, বিদেশি পণ্যের দোকানপাট কম, দেশীয় পণ্যের আধিক্য বেশি মনে হচ্ছে।

আকতার ফার্নিচার লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেলস) দুলাল রায় বলেন, আন্তর্জাতিক মেলার নামের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে, তবে মেলায় বিদেশি এবং ভালো প্রতিষ্ঠান কম জায়গা পেয়েছে। অনেক স্টল দেখে মনে হবে ফুটপাতের ফেরির দোকান।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন