মো. শামীম রেজা, রাজবাড়ী
সংযোগ সড়ক জুড়ে মেহগনি গাছের বাগান। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী হয়নি। চলতে পারে না কোনো প্রকার যানবাহন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মরডাঙ্গা খালের ওপর ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এমনই এক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকাবাসীর স্বার্থে নয়, ব্যক্তি স্বার্থে এমন আজব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা মরডাঙ্গা খালের ওপর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকায় ৩৬ ফুট দীর্ঘ নির্মিত সেতুটি স্থানীয় সাংসদ কাজী কেরামত আলী উদ্বোধন করেন। পাঁচ বছর কেটে গেলেও সংযোগ সড়ক নেই।
সেতুটির এক পাশে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে রয়েছে মেহগনি গাছের বাগান এবং খানাখন্দ। অন্যপাশ অনেক ঢালু। পায়ে হেঁটে চলতে পারলেও কোনো যানবাহন চলাচল সম্ভব না। যে কারণে কোনো সেতুটি উপকারে আসছে না এলাকাবাসীর।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, সেতুটি অপরিকল্পিত। ব্যক্তি স্বার্থে সেতু তৈরি করার কারণে সাধারণ মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। এত টাকা ব্যয় করে সেতু তৈরি করলেও সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় কোনো যানবাহন চলতে পারে না। বরং সেতুটি এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ষাটোর্ধ্ব সিরাজ খান বলেন, ‘এটা উন্নয়ন নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তামাশা করা। সাধারণ মানুষের সেতু প্রয়োজন। কিন্তু এমন সেতুর কারও প্রয়োজন নাই। যে সেতু কোনো কাজে আসছে না। ঠিকাদারের লাভের জন্য এমন অকেজো সেতু তৈরি করে রেখেছে সরকারের লাখ লাখ টাকা দিয়ে। এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। কোনো কাজে আসছে না।’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম মনোয়ার মাহমুদ বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক করার জন্য তৎকালীন পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আলমগীরকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি কাজটি করেননি। কেন করেনি সেটা বুঝতে পারছেন না। এখন চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যানকে বলে সেতু চলাচলের উপযুক্ত করা হবে।