বিশ্বকাপের গত কয়েক আসর থেকে বেলজিয়ামের গায়ে লেগে আছে ‘কালো ঘোড়া’ তকমা। রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা কাতার বিশ্বকাপেও এসেছে ফেবারিট হিসেবে। হবেও না কেন? কেভিন ডি ব্রুইন, ইডেন হ্যাজার্ড, থিবু কোর্তোয়া ও রোমেলু লুকাকোর মতো ইউরোপ ফুটবল মাতানো তারকাসমৃদ্ধ দলকে নিয়ে বাজি লাগবে না এমন কে আছে! তবে এবার কি নকআউট পর্বের ‘ফসকা গেরো’ খুলে কাঙ্ক্ষিত ফাইনালে পা রাখতে পারবে বেলজিয়াম?
এমন প্রশ্নের উত্তর আগামী এক মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে মূল পর্বে নামার মার্তিনেজের দলের প্রস্তুতিটা কেমন হয়েছে তা জানা যাবে আজ রাতে। কুয়েতের জাবের আল-আহমেদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচে বিশ্বকাপের টিকিট না পাওয়া মোহামেদ সালাহর মিসরের বিপক্ষে মাঠে নামছে বেলজিয়াম।
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনারা ঘরে ফিরেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে। যা তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য। বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার জন্য বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের এটাই শেষ সুযোগ। দেশকে একটি প্রধান শিরোপা এনে দিতে মুখিয়ে আছেন তাঁরাও। এবার অবশ্য বেলজিয়াম কাতারের টিকিট কেটেছে ইউরোপের বাছাইপর্বে ৬ জয় ও দুই ড্র নিয়ে। মার্তিনেজের দলের চলতি বছরটাও কাটছে মিশ্র অনুভূতির ভেতর। গত ৫ ম্যাচে বেলজিয়াম জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে। সঙ্গে জুটেছে দুই হার ও এক ড্র।
মার্তিনেজও শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ। তাঁর সবচেয়ে বড় হতাশা লুকাকুকে নিয়ে। ইন্টার মিলানে ফিরলেও গোলখরা যাচ্ছে বেলজিয়ামের মূল স্ট্রাইকারের। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হ্যাজার্ডকে নিয়েও চিন্তা রয়ে যাচ্ছে মার্তিনেজের। তবে মিসরের বিপক্ষে গা গরমের ম্যাচে শিষ্যদের ছন্দে ফেরানো সুযোগটা নিতে চান তিনি, ‘সময়সূচির ওপর ফোকাস রেখে নির্দিষ্ট উপায়ে দলকে প্রধান টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করার এটাই সুযোগ।’
মিসরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ডিএইচ স্পোর্টসকে মার্তিনেজ আরও বলেন, ‘মধ্য আফ্রিকান একটি দেশের বিরুদ্ধে খেলা আমাদের প্রস্তুতির সব লক্ষ্য পূরণ করবে।’