Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

হত্যার ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেন মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হত্যার ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেন মেয়র রেজাউল

হত্যা ও লাশ গুমের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি লিখে নেওয়াসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এম সাইফুদ্দিন সৈয়দ। সাইফুদ্দিন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা।

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী।

মামলায় সাবেক মেয়র ছাড়াও অন্য যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন রেজাউল করিমের মেয়ে সাবিহা তাসনিম তানিম, ভাই নুরুল করিম চৌধুরী, নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, টিপু রহমান ও নজরুল ইসলাম অপু।

বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে গত বছর (২০২৩) বাদীকে মেরে ফেলা, লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে তাঁর (বাদী) একটি সম্পত্তি লিখে নিতে জোরপূর্বক সই আদায়ের অভিযোগ আনা হয়। জমি লিখে নিয়ে তা বিক্রি করা ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বহদ্দারহাটে তিনি তাঁর কেনা জায়গায় তোলা কিছু দোকান ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। এ সময় মামলার দুই আসামি মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ও টিপু রহমান দোকান ভাড়া নিয়ে সময়মতো ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করে দোকান চালিয়ে আসছেন।

২০২০ সালে রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর তাঁর কাছে বাদীর তফসিলভুক্ত জায়গা বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় মেয়র বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। বাদী জায়গাটিতে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। এ সময় রেজাউল করিম চৌধুরী বাদীকে তাঁর জায়গা ছেড়ে না দিলে তাঁকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেন।

২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বাদী তাঁর বর্তমান বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হলে আসামিরা তাঁকে গাড়িতে তুলে চান্দগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাঁকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাঁর তফসিলভুক্ত সম্পত্তির সাব-কবলা বিক্রির দলিলে সই আদায় করেন।

ওই সময় ৮৭ লাখ টাকার তিনটি পে-অর্ডারের মূল কপি বাদীকে দিয়ে বাকি ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার পে-অর্ডার এক মাস পর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে নির্ধারিত সময়ে টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অফিসে গিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে বাকি টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি বাদীকে অফিস থেকে বের করে দেন।

বাদী বলেন, আগে ভয়ের কারণে তিনি মামলা করতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি মামলা করলেন।

এদিকে সরকার পতনের পর থেকে অন্য অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো সাবেক মেয়র রেজাউল করিমও আত্মগোপনে রয়েছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ