বগুড়ার আদমদীঘিতে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে জালাল আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ওই নারীর ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুটি ছেলে সন্তান আছে। পরে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর আদমদীঘির সান্তাহারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। দেড় বছর ধরে রানীনগরের জালাল ওই বাসায় যাতায়াত করতেন। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তিনি ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে জোর করে তাঁর গর্ভপাত ঘটানো হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা ওই ঘরে গিয়ে ওই নারীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ সময় তাঁর পাশে সাত/আট মাসের মৃত বাচ্চা পড়েছিল। প্রতিবেশীরা মোবাইল ফোনে জালালকে ডেকে আনেন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন, ধর্ষণ ও গর্ভপাতে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।