নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এভাবেও ফিরিয়ে দেওয়া যায়! জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডে বরিশালের কাছে দ্বিতীয় দিনেই হেরেছিল চট্টগ্রাম। তারই ‘প্রতিশোধ’ যেন চতুর্থ রাউন্ডেই নিলেন মুমিনুল হকের দল। গতকাল তৃতীয় দিনেই বরিশালের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোসাদ্দেক হোসেনের দল হেরেছে ইনিংস ৭৩ রানের বড় ব্যবধানেই।
প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করেছিল বরিশাল। জবাবে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেনের ফিফটিতে ৪৪৩ রানের পাহাড় গড়ে চট্টগ্রাম। মেহেদী হাসান রানা-নাঈম হাসানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রানেই গুঁড়িয়ে যায় বরিশাল।
বরিশাল-চট্টগ্রামের ম্যাচে তৃতীয় দিনেই ফল এলেও বাকি তিন ম্যাচ গড়াচ্ছে চতুর্থ দিনে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রাজশাহী ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচটি জমে উঠেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিদ হাসানের তামিমের দুর্দান্ত ১৪৫ রানে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৭৫ রানের লিড নিয়েছে রাজশাহী। হাতে আছে আরও ছয় উইকেট। শেষ দিনে নাটকীয় কিছু না ঘটলে ম্যাচটি শেষ হতে পারে অমীমাংসিতভাবে।
ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ১২৩ রানে অলআউট হওয়া ঢাকা অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সংগ্রাম করছে।আবদুল মজিদ ও রাকিবুল হাসানের ফিফটিতে তৃতীয় দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪। ৯২ রানে লিড নেওয়া ঢাকাকে নিশ্চয় আজ দ্রুতই থামিয়ে দিতে চাইবে সিলেট। ছোট লক্ষ্য পেলে নিশ্চয় জয়টা কঠিন হবে না নাসুম আহমেদদের।
জয়-পরাজয়ে মীমাংসা হতে পারে খুলনা-রংপুরের ম্যাচটিও। সিলেটে একাডেমি মাঠে শেষ দিনে জিততে হলে রংপুরের দরকার ১৯৫ রান। আর খুলনার দরকার ৯ উইকেট।