পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ১০ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নির্দেশনা মোতাবেক দল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহাঈম্মীন হোসেন চঞ্চল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আজিজুল গাফ্ফার ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা পান্নু।
আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৫ ইউপি ও ১টি পৌরসভায় ভোট। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী না হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে জন্য ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। তা মেনে অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। আবার অনেকে করেননি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় ৮ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেয়র প্রার্থী মো. ইশারত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেয়র প্রার্থী আশরাফুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদভা ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান টটুল, দেবোত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী কে. এম শাহীন, একদন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেন আলাল সরদার, একদন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রেজাউল করিম মুকুল, লক্ষীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাবিবুল্লাহ মোল্লা।
এ ছাড়া দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রজব আলী, কার্যকরী সদস্য মো. খোরশেদ আলম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরশেদ আলী খান, চাঁদভা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনুর রহমান লিটনসহ দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।