বোরহান জাবেদ, ঢাকা
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বোলিংয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন রাকিবুল হাসান। সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় এ মুহূর্তে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। শেখ জামালের ভারতীয় অফ স্পিনার পারভেজ রাসুলের মতো রাকিবুলের উইকেট সংখ্যাও ২৪টি।
ব্যাটারদের ওপর তো ছড়ি ঘোরাচ্ছেনই, মাঠের বাইরেও দারুণ চনমনে রাকিবুল হাসানের দেখা মিলছে। এখনো জাতীয় দলের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। তবে এটা নিয়ে এখনই বেশি বিচলিত হচ্ছেন না তিনি। নিজেকে আরও শাণিত করতে পারলে সুযোগটা একদিন এসে যাবে বলে বিশ্বাস রাকিবুলের।
সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামদের পর বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনের ঝান্ডাটা রাকিবুলের হাতে দেখেন অনেকে। সাফল্যে মোড়ানো ডিপিএলে সেটা আরও জোরালো করেছেন তিনি। সাফল্যের রহস্য নিয়ে আজকের পত্রিকাকে রাকিবুল বললেন, ‘নিজের খেলাটা উপভোগ করছি বলেই হয়তো ভালো ফল হচ্ছে। তবে আমি আরও খুশি হতাম, আমাদের দল যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল সেটা পূরণ করতে পারলে। দল ভালো করলে বোলিংয়ে সাফল্যের ব্যাপারটা আরও তীব্র হতো।’
শুরুটা মনের মতো হলেও এখন শিরোপা লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে গেছে রাকিবুলের দল প্রাইম ব্যাংক। দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে এ জায়গায় অতৃপ্তি রয়ে গেছে রাকিবুলের। ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগোনো রাকিবুলের ভাবনায় এ মুহূর্তে নিজের বোলিংয়ে উন্নতি আনা, ‘উন্নতির এখনো অনেক জায়গা রয়েছে, যেসব নিয়ে সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কাজ করছি। এখন মনে হয় পাঁচ শতাংশ (২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে) উন্নতি হয়েছে। আরও সময় গেলে ১০-১৫ শতাংশ উন্নতি করতে পারলে বোলিং আরও ভালো হবে।’
ডিপিএলে রাকিবুলের মতোই স্পিনারদের জয়গান শোনাচ্ছেন পারভেজ রাসুল। ভারতে চলছে আইপিএল। অথচ রাসুলের সময় কাটছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে উঠে আসা এ ক্রিকেটার এক সময় নিজেও আইপিএল খেলেছেন। সে সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন তিনি। এসব নিয়ে এখন আর আক্ষেপের বেড়াজালে নিজেকে বন্দী রাখতে চান না রাসুল। যত দিন খেলবেন উপভোগের মন্ত্রে প্রতিনিয়ত নিজেকে অনুপ্রাণিত করে যেতে চান। ডিপিএলেই যেমন বোলিংয়ে সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষেই ছিলেন। ২৪ উইকেট নিয়ে এখনো শীর্ষেই আছেন। পার্থক্য বলতে, তাঁর সঙ্গে শীর্ষস্থান ভাগাভাগি করে লড়াই জমিয়ে তুলেছেন প্রাইম ব্যাংকের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। শেষ দিকে ব্যাটিংয়েও শিরোপার সুবাস পাওয়া তাঁর দল শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ভরসা জুগিয়েছেন। ১২ ম্যাচে ২৬.৭৫ গড়ে ২১৪ রান সে কথাই জানান দিচ্ছে। ব্যাটে-বলে এর চেয়ে বেশি কিছু আর কী চাইতে পারতেন রাসুল! তিনি বলছেন, ‘অবশ্যই অসাধারণ কাটছে। চেষ্টা থাকবে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখার। আশা করি আমরা পারব।’
ভারতের পর বাংলাদেশকে অনেকটা নিজের ‘দ্বিতীয় ঘর’ ভাবেন রাসুল। বললেন, ‘ভারতের পর আমি শুধু বাংলাদেশেই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পেয়েছি। এখানে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। তাদের সঙ্গে খেললে স্কিল আরও উন্নত হবে।’