দিনাজপুর প্রতিনিধি
আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। গতকাল বুধবার সকাল থেকে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত। জরুরি প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেরিয়েছেন। এসব মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়; যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় জেলায় বাতাসে আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সাত-আট কিলোমিটার। বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, ‘ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই মাঠে কাজে যেতে পারছি না। কাজের লোকজনও পাওয়া যাচ্ছে না। বোরো রোপণে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।’
সদরের মাঝাডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদিন ঠান্ডা কম ছিল, কাজ করতে কষ্ট কম হইছিল, আইজ যে ঠান্ডা কাজ করা যাবে না।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ (বুধবার) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান শৈত্যপ্রবাহটি দেশের বেশির ভাগ স্থান থেকে দূরীভূত হয়েছে। তবে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ ও রাজশাহী জেলায় শৈত্যপ্রবাহটি এখনো বিরাজ করছে। শৈত্যপ্রবাহটির তীব্রতা কিছুটা কমে বর্তমানে এটি এখন মৃদু আকারে বয়ে যাচ্ছে।