Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পাথর ছাড়াই সড়ক সংস্কার

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

পাথর ছাড়াই সড়ক সংস্কার

টাঙ্গাইলের গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কে সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে আড়াই কিলোমিটার সড়কে পাথর ছাড়াই লাল কুচি বালু ও বিটুমিন দিয়ে সংস্কারের (সিলকাট) অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অল্প দিনেই সড়কটি আবার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সওজের অধীনে গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কের গোপালপুর উপজেলার বরশিলা খারপাড়া থেকে মির্জাপুর বাজার সেতু পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কে সম্প্রতি সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তবে সংস্কারের পরই সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। সড়ক সংস্কারে পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও লাল কুচি বালু ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করে কোনোমতে সড়কের ওপর প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ১২ মিলি পুরু কার্পেটিং করার কথা ছিল। সেখানে কোথাও ৫ মিলি, কোথাও ৪ মিলি করা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর বাজার সেতু থেকে বরশিলা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজটি পেয়েছে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। এতে সড়কে ১২ মিলি কার্পেটিং করার কথা ছিল। সংস্কারের কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। এতে পাথর, বালু ও বিটুমিন ব্যবহার করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে জয়পুরহাট জেলার মিঠু ও গোপালপুরের আব্দুল আজিজ নামের দুজন ঠিকাদার সাবকন্ট্রাক্টে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে লাইসেন্স দুই শতাংশ টাকায় ভাড়া নিয়ে কাজটি করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওলিউল হোসেনের বন্ধু। জেলায় সওজের বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের কাজ মিঠুর মাধ্যমে করানো হয়। এতে নিম্নমানের কাজ হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী বা উপবিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলীরা কিছু বলতে পারেন না তাঁকে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় ঠিকাদার শুধু বালু ও বিটুমিন দিয়ে সড়ক সংস্কার করেছেন। আর দেবে যাওয়া অংশ পাথর দিয়ে সমান করার কথা থাকলেও সেখান ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। এ কারণে অল্প দিনেই এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

বরশিলার আমির আলী বলেন, ‘সড়কটি ভালোই ছিল। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে। কিন্তু সেগুলা সংস্কার না করে শুধু সড়কের ওপর দায়সারা প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। সেখান পাথর ছিল না, ছিল লাল কুচি বালু। বৃষ্টি হলেই সেগুলা উঠে পড়বে।’

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসে কাজ শেষ করতে না পারলে সব টাকা ফেরত যাবে। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগসাজশে ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সদস্যরা কোথাও নিম্নমানের এবং কোথাও কাজ না করেই শুধু কাজের একটু ছবি তুলেই বিল (টাকা) উত্তোলন করে নিয়েছেন।

গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কের সংস্কারের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফরহাদ জানান, সড়কে সংস্কারের কাজ নিয়ম মতোই করা হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সওজের মধুপুর অঞ্চলের এসও জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়ক সংস্কারের জন্য পাথর দিতেই হবে। কীভাবে পাথর ছাড়া ঠিকাদার সংস্কার করছেন, তা তাঁর জানা নেই। তবে এ রকম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওলিউল হোসেন বলেন, ‘কোনো ঠিকাদার আমার বন্ধু নয়। সড়ক সংস্কারকাজের কোনো অভিযোগ থাকলে সেগুলা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসডি ও এসও বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ