আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, নারীবিদ্বেষী ও নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া গাজীপুর এবং সাতক্ষীরায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আবেদন করা হয়েছে পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, গতকাল বুধবার সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন। উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গতকাল দুপুরে গাজীপুর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স। মামলার অপর আসামি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ। গাজীপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. কায়সারুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা বিভাগ) ডিবিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট এখলেছার আলী বাচ্চু। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, গতকাল ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে পাবনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আরশেদ আলম। মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. গোলাম কবির শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তবে কোনো আদেশ দেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হক দোলন। আদালতের বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।