বিনোদন ডেস্ক
শুরুটা হয়েছিল ‘কাহানি’ দিয়ে, আর এখন বলিউডে নিয়ম করেই মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সিনেমা-সিরিজ। গত বছর ‘আরণ্যক’, গত মাসে ‘মিথ্যা’ ও গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘যুগাদিস্তান’ হিন্দি সিরিজ। পরমব্রতর একটা আক্ষেপ হতেই পারে, বলিউডের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কেন্দ্রীয় চরিত্রে বেশি অভিনয় করতে পারেননি। তাই এবার অন্য পথে হাঁটতে চাইছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হিন্দি সিনেমায় সব সময় আমাকে একজন ভদ্র, নিরীহ, ভালো মানুষ হিসেবে দেখানো হয়। চরিত্রগুলো আলাদা হলেও একজন ওরকম মানুষকেই পোর্ট্রেট করা হয়, যাঁর কাঁধে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে কাঁদা যায়।’ তাই তো গত কয়েক মাসে তিনটি প্রজেক্ট না করে দিয়েছেন। তবে ‘মিথ্যা’ ওয়েব সিরিজের মতো হলে ক্ষতি নেই। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজটায় আমি যে চরিত্রে অভিনয় করছি, মানে নীল অধিকারী, সেখানে একটা ধূসর বিষয় রয়েছে। ওরকম মিস্টার ডিপেনডেবল টাইপের না।’
বলিউডে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আরও এক জায়গায় আটকে আছেন পরম। সব সিনেমাই নায়িকাকেন্দ্রিক। ১০ বছর আগে ‘কাহানি’ সিনেমায় পরম ছিলেন বিদ্যা বালানের সহযোগী শিল্পী। যদিও পরমব্রত বলছেন নায়িকার ‘ছায়াসঙ্গী’। তার পর থেকে ‘পরি’, ‘বুলবুল’, ‘আরণ্যক’, ‘মিথ্যা’— একের পর এক নারীপ্রধান গল্পে ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পাওয়া গেছে তাঁকে।
পরম এখন নতুন সিনেমার কাজ করছেন। সিনেমায় তিনি তাপসী পান্নুর সহশিল্পী। মুক্তির অপেক্ষায় ‘চাকদাহ এক্সপ্রেস’, সেখানে মূল চরিত্রে আনুশকা। পরমব্রত বলেন, ‘এত দিন পুরুষশাসিত সমাজের প্রতিফলন ছিল বড় পর্দায়ও। সম্ভবত ‘কাহানি’ পথপ্রদর্শক। এই সিনেমা বলিউডে মোড় ঘুরিয়েছে। এই সিনেমার হাত ধরেই পুরুষ সম্ভবত নারীর প্রথম ছায়াসঙ্গী। এই ধরনের চরিত্রে এতটাই আন্তরিকভাবে মিশেছি যে বলিউডে আমার আলাদা পরিচয় হয়েছে। তাতে আমি খুশিও।’