রাজশাহীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড চলবে ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৪ দিনের এ ক্যাম্পেইনে সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। শহরে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এবং ৯ উপজেলার গ্রামে গ্রামে জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় এ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করবে।
ক্যাম্পেইনে শহরের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ৯৬৭ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৯৩ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর গ্রামে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৮ হাজার ৯৫১ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৭ জনকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মোট শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৮।
এই ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাসিক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সিটিহল সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু।
এতে জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বিষয়ে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি জানান, ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দিন, ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সাংবাদিক অবহিতকরণ সভা হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
এতে জানানো হয়, ৯ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৭৫৪টি ক্যাম্প স্থাপন করে ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা হবে। ক্যাম্পগুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
এ সভায় রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ বেতারের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক তনুশ্রী স্যানাল এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. খুরশিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।