শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নে সনাতন ধর্মাবলম্বী গণেশ চন্দ্র দাসের কাছে চাঁদা দাবি অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দিলে দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করার হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের শিধলকুড়া গ্রামে গণেশ চন্দ্র দাসের বাড়িতে একই গ্রামের রাজিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হন। এ সময় তাঁরা গণেশ চন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যদের নানা হুমকি দেন। এ ছাড়া এক দিনের মধ্যে ২ লাখ টাকা না দিলে দোকানে তালা দেওয়ার কথা বলা হয়। টাকা না দিলে গণেশ ও তাঁর ছেলে উজ্জ্বল দাসকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হুমকি দেন রাজিন।
গণেশ দাসের স্ত্রী মিনতি রানী বলেন, ‘গত রাতে হঠাৎ করে আমাদের ঘরে বেড়াতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন রাজিনরা। পরে তাঁরা আমার ছেলের নাম ধরে ডাকেন। টাকা না দিলে তাঁরা আমার পোলা এবং স্বামীর চোখ উঠিয়ে নেবে বলে হুমকি দেন। এ সময় রাজিন গোলদারের সঙ্গে জিহাদ, কাউসার, ইসামিনসহ ১০-১২ জন ছিল।’
তবে রাজিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম। ইমাম হোসেন তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে এ ঘটনা ঘটান। অবশ্য ইমাম যাওয়ার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে যান।’
ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, ‘হামলা, হুমকি ও চাঁদা দাবির বিষয়ে শনিবার সকালে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’