Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১ অক্টোবর

প্রথমে ইঙ্গিত মিলেছিল জুনেই হতে পারে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে ওই মাসে নয়, আগামী ১ অক্টোবরই হবে সম্মেলন। গতকাল বুধবার মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এ ঘোষণা দিতেই নেতা-কর্মীরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি ও আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি গঠিত হয় ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর। তবে সেবার সম্মেলন হয়নি। কমিটির ঘোষণা এসেছিল ঢাকা থেকে। এ শাখায় সবশেষ সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর কমিটির সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী পান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব। এবার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব আসবে, নাকি বর্তমান নেতাদের পদের রদবদল হবে–সেটি দেখার অপেক্ষা সবার।

সম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে। এর অন্তত দুই মাস আগে আমরা সারা দেশে সকল জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের সম্মেলন শেষ করতে চাই। এর অংশ হিসেবে আমি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করছি। আগামী পয়লা অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকি সব ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানার সম্মেলন শেষ করতে হবে।’

সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ নতুন আঙ্গিকে আসবে বলে মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি বলেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে শক্তিশালী হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর আগে সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাহাড়ে সম্মেলন হচ্ছে, চট্টগ্রামেও সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে। দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে টানতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে লিমিটেড কোম্পানি না বানানোর আহ্বান জানান আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ‘দলে এনে কাউকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। শুধু আমি শুদ্ধ আর কেউ শুদ্ধ না বললে একা হয়ে যাবেন। জনগণের ভোট ভালো লাগবে, ভোট পেতে হাতে-পায়ে ধরবেন কিন্তু সঙ্গে হাঁটতে চাইলে অপমান করবেন, তা হতে পারে না।

এমন হলে যারা ‘৭৫-এর পর নির্যাতন সয়েছে তারা ছাড়া কেউ আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। যারা আমাদের রাজনীতি সমর্থন করে তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ করা আর আত্মহত্যা করা একই।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ