গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
গম ও পাটের চাষাবাদের পাশাপাশি বিকল্প ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় সূর্যমুখী থেকে ভালো রকমের লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গোয়ালন্দে সূর্যমুখীর চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর কৃষি পুনর্বাসন প্রণোদনার আওতায় উপজেলায় ৪০০ জন কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে এক কেজি করে আরডিএস জাতের সূর্যমুখীর বীজ বিতরণ করা হয়। প্রথমবারের মতো উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ২২ হেক্টর (১৫৪ বিঘা) জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, হাতে–কলমে কৃষকদের বীজ আহরণ পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাশিমা এলাকার একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। কাঁচা ও আধা পাকা সূর্যমুখী ফুলে বিস্তীর্ণ জমি হলুদে ছেয়ে গেছে।
সূর্যমুখী চাষি আব্দুস সোবহান মোল্লা বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণা থেকে আমিসহ আমরা কয়েক ভাই মিলে একসঙ্গে ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছি। এ বছর ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি। ন্যায্য মূল্য পেলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে এবং আমাদের মতো আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হবেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, ‘আগে গোয়ালন্দের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। আমি নিজ চেষ্টায় তাঁদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। সরকারিভাবে বিনা মূল্যে বীজ দেওয়া থেকে শুরু করে চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন কৃষকদের হাতে–কলমে বীজ আহরণ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে।’
খোকন উজ্জামান আরও জানান, প্রতি একর জমিতে সূর্যমুখীর ২০–২৪ মণ বীজ পাওয়া যায়। এ থেকে প্রায় ১২ মণ তেল পাওয়া যায়।