মেয়েদের জীবন রান্নাঘরে শুরু, রান্নাঘরেই শেষ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এ কথাটাই প্রচলিত ছিল বরাবর। কালের নিয়মে চিত্রটা পাল্টেছে। মেয়েরাই রান্না করবে তেমনটাও আজকাল অনেকে ভাবছেন না। তবে রান্নাঘরই কিন্তু বদলে দেয় ‘পৌলমী’র জীবন। যে পৌলমী কারও স্ত্রী, কারও বৌমা, কারও আবার বৌদি। চারপাশে প্রতিদিনের দেখা এমনই এক নারীর গল্প পর্দায় তুলে আনছেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর নতুন সিনেমা ‘বৌদি ক্যান্টিন’। পরমব্রত বলেন, ‘আমাদের সমাজের একাংশ একটা মেয়েকে তখনই সফল বলে মনে করে, যখন সে বাইরে গিয়ে কাজ করে। মেয়েরা স্বাভাবিকভাবে যেটা পারেন, সেটা করেও কিন্তু একজন পুরুষের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। সেই বার্তা দেবে এই সিনেমা।’
শুভশ্রীই হচ্ছেন বৌদি ক্যান্টিনের বৌদি। আর শুভশ্রীর স্বামীর চরিত্রে থাকছেন পরমব্রত। শাশুড়ি হলেন অনসূয়া মজুমদার। তবে সোহম চক্রবর্তীর চরিত্রটি খোলাসা করেনি সিনেমা কর্তৃপক্ষ। সংলাপ লিখেছেন সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমার প্রথম লুক প্রকাশ্যে এসেছে গত রোববার। পরিচালক পরমব্রত বলেন, ‘বৌদি একটা খুব মিষ্টি শব্দ। বিবাহিত নারীদের দেখলে পুরুষেরা বৌদি বলেই সম্বোধন করেন। এই সিনেমা এক নারীর জীবনযাত্রার কথা বলবে। তাঁর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প বলবে।’
সেভাবেই সংলাপ বুনেছেন সম্রাজ্ঞী। তিনি বলেন, ‘একটু অন্যভাবে ভাবতে পারি আমরা। এই রান্নাঘরে মেয়েদের জীবন শেষ নয়। বরং এখান থেকে নিজেকে গড়ার স্বপ্ন দেখা সম্ভব।’
যাকে কেন্দ্র করে এই গল্প, সেই পৌলমীর চরিত্রে অভিনয় করা শুভশ্রী বলেন, ‘সিনেমাটিতে অভিনয় করার ক্ষেত্রে আমার অনুপ্রেরণা আমার শাশুড়িমা। তিনিও বুঝিয়েছেন জীবনের পরিবর্তন অনেকভাবেই সম্ভব। পৌলমীও তেমনই এক নারীর গল্প বলবে।’
সিনেমাটির শুটিং প্রায় শেষ। কলকাতাতেই শুটিং হয়েছে। এই বছর পূজায় মুক্তি পাবে বৌদি ক্যান্টিন।