ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টানা তিন দিন বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় বেড়েছে শীত। আগাম শীতে লেপ-তোশক বানাতে মহাব্যস্ত কারিগররা। তেমনি ভিড় বেড়েছে গরম পোশাকের দোকানে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মাসে দুটি শৈত্য প্রবাহ আসছে। মাঘ মাসের কনকনে শীত মোকাবিলার জন্য লেপ-তোশক বানানো ও শীতবস্ত্র কেনাকাটায় দোকানগুলোতে ভিড় করছেন মানুষেরা। সুযোগে পোশাক বিক্রেতারাও গরম পোশাকের দাম একটু বেশি হাঁকাচ্ছেন ক্রেতাদের কাছে। বিপণি বিতান, অভিজাত গার্মেন্টসগুলোতে দাম হাঁকানোর কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাদের পরিবার পরিজনের গরম কাপড়-চোপড় কিনতে ভিড় করছেন শহরের প্রধান সড়কের পাশের ফুটপাতের দোকান গুলোতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা শহরের জিরো পয়েন্টে দোকান খুলে বসছে কার্তিক সরকারসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন হাট বাজারেও পুরোনো শীতবস্ত্র বেচাকেনার বাজার বেশ জমে উঠেছে। বড় বড় দোকানের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পুরোনো কাপড় কিনতে পেরে খুশি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী পরিবারের লোকজনও।
গৈলা বাজারের ভাই ভাই বেডিং স্টোরের মালিক জালাল খলিফা জানান, শীতের মৌসুম শুরুর কারণে লেপ-তোশক তৈরি ও বিক্রি বেড়েছে। উপজেলা সদর, গৈলা বাজার, ছয়গ্রাম, সাহেবেরহাট, বাশাইল বাজার, পয়সারহাট বন্দর, বাটরা বাজার, বারপাইকা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে লেপ-তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা গেছে।