চুলের যত্নে কন্ডিশনারের আবশ্যকতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোন ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন, সেটা আদৌ ব্যবহার করবেন কি না এসব বিষয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন।
শীতের শুষ্কতা রোধে: শীতকালে চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। মাসে কমপক্ষে একবার আপনার মাথার ত্বকে কন্ডিশনার মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে চুলের শুকনো রুক্ষ ভাব দূর হয়ে যাবে, চুল নরম এবং মসৃণ থাকবে।
আপনার গোসলের নিয়ম উল্টে দিন: একটু অস্বাভাবিক শোনালেও শ্যাম্পু করার আগে কন্ডিশনিং আসলে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে পারে। গোসলের সময় কন্ডিশনার কখনোই পুরোপুরি ধুয়ে যায় না। ফলে গোসলের পরে কন্ডিশনার রেখে দিলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গোসলের আগে কন্ডিশনার ব্যবহার তাই চুলে অতিরিক্ত বাউন্স তৈরির একটি সহজ ও দ্রুত উপায়।
শ্যাম্পু ছাড়াই কন্ডিশনিং: প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করলে তা শুষ্ক হয়ে আগা ফেটে যেতে পারে। কিন্তু শ্যাম্পু না করলে যে কন্ডিশনিং এড়িয়ে যেতে হবে, তা নয়। তাই শ্যাম্পু না করলেও চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নিয়মিত চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুলের টেক্সচার বুঝে কন্ডিশনার নির্বাচন: ঠিকমতো কন্ডিশনার নির্বাচন করাটা বেশ কঠিন হতে পারে। চুলের গঠনের ওপর ভিত্তি করে কোন ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনার চুল পাতলা হয়, তাহলে ভলিউমাইজিং কন্ডিশনার বেছে নিন।
চুলের গোড়া এড়িয়ে চলুন: কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় অবশ্যই চুলের গোড়া এড়িয়ে যাবেন। চুলের ডগা থেকে শুরু করে মাঝামাঝি পর্যন্ত কন্ডিশনার দেওয়াটা চুল হাইড্রেট করার ভালো উপায়।
সূত্র: স্টাইল ক্যাস্টার