বাংলাদেশে কোনো ভালো কনটেন্ট তৈরি হলে কলকাতা থেকেও সেটার প্রশংসা শোনা যায়। শুধু সেখানকার দর্শক নন, বাংলাদেশি কনটেন্টের খোঁজখবর রাখেন টালিউড তারকারাও। সম্প্রতি হইচইয়ে মুক্তি পাওয়া ‘কারাগার’ সিরিজ কিংবা তারও আগে ‘তাকদীর’ কিংবা ‘মহানগর’—এ কাজগুলোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। এবার বাংলাদেশি কয়েকজন শিল্পীকে কাছে পেয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিলেন টালিউডের বুম্বাদা।
কয়েক দিন আগে কলকাতায় হয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের পাঁচ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। সেখানে কলকাতার শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অনেকেই। ছিলেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশি ও বৃন্দাবন দাশসহ তাঁদের দুই সন্তান অভিনয়শিল্পী দিব্য ও সৌম্য, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতুল্লাহ, নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি প্রমুখ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয় ওই অনুষ্ঠানে।
চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ আছে প্রসেনজিতের। একসঙ্গে তাঁরা গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। চঞ্চলের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিল্পীদের নিজের বাড়িতে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ করেন প্রসেনজিৎ। শনিবার রাতে গল্প, আড্ডা, গানে দারুণ সময় কাটল সবার। প্রসেনজিতের আপ্যায়নে মুগ্ধ বাংলাদেশি শিল্পীরা। অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ বলেন, ‘একজন শিল্পীর বিনয় তাঁকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন বুম্বাদা। তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম। চমৎকার সময় কাটিয়েছি তাঁর বাড়িতে।’
প্রসেনজিতের সঙ্গে তোলা একটি ছবি এখন শোভা পাচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীর ফেসবুক প্রোফাইলে। তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে ছবি তোলা শেষে প্রসেনজিৎ আমাকে বললেন, ‘‘চল বাবু, মনের মানুষ-এ আমরা যেমন করে গানের সাথে নাচতাম, সে রকম একটা ছবি তুলি।’’ এরপর ছবিটা তোলা হয়।’ চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন, শুধু হাসি-আড্ডা নয়, দুই দেশের সিনেমা-সিরিজের ধরন এবং উন্নতির বিষয়েও আলাপ করেছেন তাঁরা।