আ ব ম ফারুক
ভেজাল প্রসাধনী শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর; যে কারণে বিদেশে নিয়ম আছে, খাদ্যের মতো প্রসাধনীরও মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভেজাল খাবার ও ওষুধ যেমন ক্ষতি করে, তেমনি ভেজাল প্রসাধনীও ক্ষতিকর।
উন্নত দেশে ফুড টেকনোলজিতে ফার্মাসিস্টদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রসাধনীতেও তা-ই। বাংলাদেশে ওষুধ ও খাদ্যে ভেজাল নিয়ে আমরা তৎপর। কিন্তু প্রসাধনীর ভেজাল নিয়ে তৎপরতা খুবই কম। তেমন আইনও পাই না। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও নজর দেওয়া দরকার। কারণ, প্রসাধনপণ্যগুলো ওষুধের মতোই। তাই এ বিষয়ে সরকারসহ সবাইকে নজরদারি রাখতে হবে, সতর্ক হতে হবে। তা না হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবহারকারীরা।
প্রসাধনীর কিছু শরীরের ভেতর ঢুকছে না। আর কিছু ত্বকের উপরিভাগ থেকে ভেতরের দিকে যায়। এগুলো ভেজাল হলে ব্যবহারকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কতগুলো লিপস্টিক, ট্যালকম পাউডার, কিছু ক্রিম ও লোশন ত্বকের ভেতরে যায়। সেগুলো বেশি বিপজ্জনক। এসব যারা ব্যবহার করবে, তাদের হালকা ক্ষতি থেকে ধীরে ধীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চূড়ান্ত ক্ষতি ত্বকের ক্যানসার হয়, ক্যানসারের জীবাণু তৈরি হয়। ত্বকে নতুন টিস্যু তৈরি হয় না। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করতে পারে না। ফরসা ত্বক কালো হয়ে যায়। তাই ভোক্তা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে।
বিশেষজ্ঞ: সাবেক ডিন, ফার্মাসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়