কয়েক বছর আগেও কলকাতার বাংলা সিরিয়ালগুলো হেসেখেলে ৫০০ পর্ব ছুঁতে পারত। ‘শ্রীময়ী’ ও ‘মোহর’-এর মতো ধারাবাহিকগুলো ৮০০ পর্ব পেরিয়েছে। আবার কিছু ঐতিহাসিক ধারাবাহিক যেমন ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘কে আপন কে পর’ বা ‘কৃষ্ণকলি’ পৌঁছেছে ১৫০০ পর্বে। কিন্তু ইদানীং অধিকাংশ ধারাবাহিক ৫০০ পর্ব ছুঁতেও পারছে না। প্রথম বছরেই বেশির ভাগ সিরিয়ালকে সমাপ্তি টানতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ফ্লপ ধারাবাহিকগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক। ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’, ‘লালকুঠি’, ‘বৌমা একঘর’, ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’ থেকে ‘উড়ন তুবড়ি’ ২০০ পর্ব পেরোতেও ব্যর্থ। ‘মাধবীলতা’ চার মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই তার জায়গায় আসছে ‘পঞ্চমী’। আবার ‘দেশের মাটি’, ‘পিলু’ বা দেবশ্রী রায়ের ছোট পর্দায় ফেরার ধারাবাহিক ‘সর্বজয়া’ বন্ধ করতে হয়েছে ৩০০ পর্ব পেরোনোর আগেই।
লক্ষ করার মতো বিষয়, যেসব সিরিয়াল শুরুর দিকে টিআরপি তালিকার এক নম্বর জায়গা দখল করেছে, তাদেরও পা পিছলে যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই। যেমন ‘মন ফাগুন’ আলোচিত ধারাবাহিক হলেও ৪০০ পর্ব পেরোতে পারেনি। শীতকালের দিনের মতো ধারাবাহিকের পর্ব-সংখ্যা যেমন ‘ছোট’ হচ্ছে, তেমনই টিআরপি তালিকায় রেটিংও কমছে। একসময় সিরিয়াল প্রচার করে জি বাংলা, স্টার জলসার মতো চ্যানেল বছরের পর বছর লাভ গুনেছে, তারাই এখন নাজেহাল। সিরিয়ালের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে তারা।