Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কাট্টলী বিলে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কাট্টলী বিলে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিলে ঝাঁকবেঁধে ভেসে বেড়াচ্ছে পরিযায়ী পাখি। পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ওড়াউড়িতে মুখর হয়ে উঠেছে কাট্টলী বিল। রাঙামাটি শহর থেকে নৌপথে লংগদু ও বাঘাইছড়িতে যাওয়ার সময় কাট্টলী বিলের এসব অতিথি পাখির ঝাঁক দেখে মুগ্ধ হন ভ্রমণকারীরা।

কাপ্তাই হ্রদের বিশাল জলরাশির একটি বড় অংশ কাট্টলী বিল। এই জলরাশি যেমন মাছ উৎপাদনের একটি ক্ষেত্র, তেমনি অতিথি পাখিদেরও বিচরণভূমি। প্রতিবছর শীতের শুরুতে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকবেঁধে পরিযায়ী পাখি আসে এ কাট্টলী বিলে। বিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সর্বত্রই পাখিদের ওড়াউড়ি আর ভেসে বেড়াতে দেখা যায়।

কাট্টলী বিলে আগত পরিযায়ী পাখিগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ দেখা যায় রাজবৈধর, পাতিহাঁস, গিরিহাঁস, বালিহাঁস, পানকৌড়ি। এ ছাড়া দেশি প্রজাতির মধ্যে শামুকখোল, হট্টিটি, পিউ পিউ, সাদা বক, চখাচখি, গাঙচিলও দেখা যায়।

লংগদু উপজেলার ভাসাইন্যাদম ও লগদু সদর ইউনিয়নের একাংশ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ভরপুর কাট্টলী বিল। এই বিলটি মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি অতিথি পাখিদেরও বিচরণক্ষেত্র। প্রতিবছর শীত মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পরিযায়ী পাখি এ দেশে আসে। পাখিরা খাদ্যের জন্য বেচে নেয় দেশের বিভিন্ন হাওর-বাঁওড় ও জলাশয়। শীত শেষ হলেও পরিযায়ী পাখির বিচরণ এখনো আছে।

কাট্টলী বিলের প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট মাছ, শামুক আর পোকামাকড় এসব অতিথি পাখির জন্য উপযুক্ত খাদ্য। আর পাখিরা যে বিষ্ঠা ত্যাগ করে, তা আবার মাছের খাদ্যে পরিণত হয়। এর ফলে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে অতিথি পাখিদের সহযোগিতা রয়েছে।

ভাসাইন্যাদম ইউনিয়নের কাট্টলী ওয়ার্ডের মেম্বার ও কাট্টলী বাজার চৌধুরী আব্দুল মোনাফ জানান, কাট্টলী বিলে একসময় প্রচুর অতিথি পাখি আসত। কয়েক বছর ধরে এ বিলে পাখি খুব কম দেখা যাচ্ছে।

কাট্টলী বিলের মাছ ধরে জীবিকা চালান আব্দুল লতিফ মিয়া। তিনি জানান, কয়েক বছর আগেও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসত। এখন পাখি আসা কমে গেছে। বিলের যেখানে পানি কম থাকে, সেদিকে পাখি বেশি থাকতে দেখা যেত। বিলে জেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ কারণেও এক জাগায় বেশিক্ষণ থাকতে পারে না পাখি।

কাট্টলী বিলে অতিথি পাখি কমে যাচ্ছে—জানতে চাইলে লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। অতিথি পাখি পরিবেশের একটা অংশ। তাদের নিরাপদে বিচরণ করতে দিতে হবে। কেউ পাখি শিকার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ