নেত্রকোনার আটপাড়ায় হত্যা মামলার আসামির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বাদীপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার আটপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আসামি মো. আলমগীরের মা রহিমা আক্তার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার আটপাড়া উপজেলার শ্রীরামপাশা গ্রামের পিয়াস মিয়াদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে তারই ভগ্নিপতি উপজেলার শ্রীরামপাশা গ্রামের চনু ফকিরের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ ডিসেম্বর চনু ফকিরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চনু ফকিরের শ্যালক কলেজছাত্র পিয়াস মিয়াকে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে পিয়াস মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিয়াসের ভগ্নিপতি চনু ফকির ও বোন হেনা আক্তারকে আটক করে। এ ঘটনায় পিয়াসের মা বাদী হয়ে পরদিন চনু ফকির, তার স্ত্রী হেনা আক্তার, প্রতিবেশী হরিপুর গ্রামের মো. আলমগীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতে বাদীপক্ষের লোকজন আসামি আলমগীরের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আলমগীরের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ অর্থ, তিনটি গরু, একটি মোটরসাইকেল ও একটি পানির পাম্প লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আলমগীরের পরিবারকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমা আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার ছেলে বা পরিবারের কেউ জড়িত নয়। অথচ আমার ছেলে মো. আলমগীরকে মিথ্যা অভিযোগে ওই মামলার ৯ নম্বর আসামি করা হয়। এতে আমার পারিবারিক সুনাম অক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং মিথ্যা অভিযোগের দায়ে আমার ছেলে পলাতক অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাদীপক্ষের লোকজন ঘটনার দিবাগত রাতে আমাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বাড়ির সব কিছু লুটপাট নিয়ে যায়। এ ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি চেয়ারম্যান অবগত আছেন।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল জানান, ঘটনার দিন রাতে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।