Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রকাশ্যে ঘুষ

সম্পাদকীয়

প্রকাশ্যে ঘুষ

আমাদের দেশে ঘুষ একটা মহামারিতে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয়—এটা এখন আর কেউ বিশ্বাস করেন না। একসময় মনে করা হতো, শিক্ষাক্ষেত্রে  ঘুষ-দুর্নীতি হয় না। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে এটা ছড়িয়ে পড়েছে এবং মাঝেমধ্যে গণমাধ্যমেও দু-চারটি খবর প্রকাশিত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘুষের ঘটনাগুলো গোপনেই ঘটানো হয়। কিন্তু রাঙামাটির বরকল উপজেলার একজন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এক শিক্ষকের কাছে ৮ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন প্রকাশ্যে—এমন অভিযোগের খবর প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের আজকের পত্রিকায়। শিরোনাম—‘ফোন করে ঘুষ দাবি শিক্ষা কর্মকর্তার’।

ভুক্তভোগী উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ চাওয়ার অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে চারজন শিক্ষক ও ৫০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষকেরা বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন। বিদ্যালয়টি কোনো

সরকারি অনুদান পায় না। সে বিষয়ে কথা বলতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। কথা বলা শেষে বাকি দুজনকে বাইরে পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা আলাদাভাবে কথা বলেন এবং শিক্ষকদের পদগুলো ঠিক রাখতে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

ওই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিনা বেতনে চাকরি করছেন। দেশের যেকোনো প্রান্তিক এলাকায় যখন এ ধরনের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তখন বোঝা যায়, সেখানে বিদ্যালয়ের প্রয়োজন আছে। তাই তাঁরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ওই শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ চাওয়ার অডিও রেকর্ড যে সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। তিনি অপরাধ করেছেন, আবার হুমকিও দিয়েছেন। এই শিক্ষা কর্মকর্তাকে যদি কোনো ‘শিক্ষা’ দেওয়ার ব্যবস্থা না হয়, তাহলে তাঁর ঔদ্ধত্য বাড়তেই থাকবে। প্রশ্ন হলো, ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন?

ঘুষের ব্যাপারগুলো প্রায় ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে হয়ে থাকে। কেউ এটিকে নিজের অধিকার ভেবে সরাসরি চেয়ে বসে। কেউ গুন্ডা-মাস্তানদের মতো মানুষকে জিম্মি করে তা আদায় করে থাকে। আবার কেউ কেউ সব ধরনের শিষ্টাচার ও আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করেও তা করে থাকে। যেভাবেই আদায় করা হোক না কেন, ঘুষ দেওয়া-নেওয়া অপরাধ।

অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করা ছাড়া রাষ্ট্র ও সমাজদেহ থেকে এর মূলোৎপাটন সম্ভব হবে না। আর ঘুষ রোধ করতে না পারলে সেবাপ্রার্থীর ভোগান্তিও কমানো যাবে না। ঘুষের দৌরাত্ম্য বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ