ক্রীড়া ডেস্ক
চার বছর আগে রাশিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে পোল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সেনেগাল। জাপানের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র করে সম্ভাবনা জাগিয়েছিল দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার। কিন্তু হয়নি শুধু ‘ফেয়ার প্লে’র জন্য। এবার অবশ্য আরও বড় স্বপ্ন দেখছেন সেনেগালকে আফ্রিকার সেরা দলে পরিণত করা কোচ আলিও সিসে।
সেনেগালকে বিশ্বকাপ খেলতে হচ্ছে দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাদিও মানেকে ছাড়াই। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আলিও সিসেও বলেন, মানেকে মিস করবে দল, ‘মানের ও জাতীয় দলের জন্য মন খারাপ অবশ্যই। আমি চাই সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। তার গুরুত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারব না। একজন কোচ তাকে কেন্দ্র করেই দল সাজাতে পারে।’ তবে মানের শূন্যস্থান পূরণে তরুণ খেলোয়াড়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করেন তিনি। সিসে বলেন, ‘দলে অভিজ্ঞ ও তরুণদের দারুণ এক সমন্বয় আছে।তরুণেরা নিজেদের এগিয়ে নিতে পারলে দারুণ কিছু হতে পারে।’
গত বিশ্বকাপে সেনেগাল খেললেও জায়গা করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। আট বছর পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল মঞ্চে খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসের অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই এটা প্রথম বিশ্বকাপ। তবে খেলোয়াড়দের প্রথম বিশ্বকাপ হলেও দলের কোচ ফন গালের এটা শেষ বিশ্বকাপ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ডাচদের কোচ যে ক্যানসার আক্রান্ত। টুর্নামেন্টের পর তিনি সরে দাঁড়াবেন, এমন ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন ফন গাল। বিশ্বকাপে তাই নিজেদের সেরাটা দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন ডাচ খেলোয়াড়েরা।
সেনেগালের সেরা তারকা সাদিও মানের চোটে পড়ায় মন খারাপ হয়েছে নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ফন ডাইকের। বন্ধু ও নিজের সাবেক ক্লাব সতীর্থের বিষয়ে ফন ডাইক বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে বাজে খবর। আমি জানি, একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটা কত বাজে খবর।’
ডাচ কোচ ফন গাল মনে করেন, মানেই সেনেগালের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন তখন নিজের দলে মানেকে চেয়েছিলেন তিনি। ফন গাল বললেন, ‘সে (মানে) দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমি যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলাম, তখন মানেকে দলে চেয়েছিলাম। আমি মানের ভক্তই। সে একাই একটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।’
মানে না থাকলেও ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না বলে মনে করেন ডাচ অধিনায়ক ফন ডাইক। জিততে সেরাটাই দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমাদের নিজেদের সক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে সেরাটা খেলতে হবে।’