Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জ্বালানি তেলের ব্যারেল ১০০ ডলারের নিচে

সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

জ্বালানি তেলের ব্যারেল ১০০ ডলারের নিচে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ লাগা জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭ শতাংশ কমে ১০০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমেছে। অয়েল প্রাইস ডট কমের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড চলতি মাসের ৭ তারিখে বিক্রি হয়েছিল ১০২.৫৭ ডলার প্রতি ব্যারেল। গতকাল ব্যারেলপ্রতি ১০.৯৭ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হচ্ছে ৯১.৬০ ডলারে।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পণ্যের দাম পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া প্রতিষ্ঠান অয়েল প্রাইস ডট কমের তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চীনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যায়। চীন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী দেশ। এ সময় সরবরাহ ও চাহিদার ব্যাঘাত ঘটায় বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতিব্যারেলে ১৩০ মার্কিন ডলার। জ্বালানি তেলের এই দাম ২০০৮ সালের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ।  

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্রেন্ট ক্রুড ও মার্বান ক্রুড তেল ব্যবহার করে। এ সব তেলের দামও কমেছে ব্যারেলপ্রতি ৫-৯ ডলার। যুক্তরাজ্যের ব্রেন্ট ক্রুড সপ্তাহের ব্যবধানে ৮.৯৮ ডলার দর হারিয়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৯৫.৪১ মার্কিন ডলারে।

মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেল মার্বান ক্রুড ৭ জুলাই লেনদেন হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ১০৫.৪২ ডলারে। গতকাল তা ৪.৭৭ ডলার দাম হারিয়ে বিক্রি হয়েছে ১০০.৬৫ ডলারে। ক্রুডের দাম কমার প্রভাব পড়তে পারে মোটরযানে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ওপর। পেট্রল ও অকটেনের দাম কমতে যদিও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। কারণ ক্রুড তেলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করে মোটরযানে ব্যবহৃত তেলে রূপান্তরিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনার্জি জায়ান্ট শেভরনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ওইর্থ মনে করেন, জ্বালানি তেলের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা খুবই ক্ষণস্থায়ী। 

ডলার সংকটের প্রভাব বিপিসির ওপর 
এদিকে ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি তেলের বিক্রেতাদের ঠিক সময়ে পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। তেলের দাম পরিশোধ এবং তেল আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো গড়িমসি করছে বলে জানান বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। তিনি বলেন, ডলার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর টানাপোড়েনে তারা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় আছেন। এই বছরের এপ্রিল থেকে ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করতে না পারার কারণে আমাদের দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জ্বালানি তেল সরবরাহকারীদের মধ্যে এমন একটা ধারণা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। আমরা ব্যাংকগুলোকে টাকা পরিশোধ করলেও তারা পাঠাচ্ছে ৫ দিন দেরি করে।’ ঠিকমতো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তেল সরবরাহ বন্ধ দেয় তাহলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ