ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে সরকারি হালট ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চিতারবাজার এলাকায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, চিতারবাজারের দুর্গা মন্দিরের পেছনে মোবারকদিয়া মৌজার ৩৯৬ নম্বর দাগে ২ শতাংশ জমির সরকারি হালট রয়েছে।
চিতারবাজার বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে ওই জায়গা বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য ভরাটের কাজ করছেন। ভরাটের জন্য ওই সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।
ওই নদের ওপর একটি সেতু রয়েছে। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেখান থেকে সেতুটির দূরত্ব প্রায় দেড় শ মিটারের মতো। এতে সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সেতুর আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে বাজারের লোকদের ব্যবহারের জন্য কুমার নদের তীরে নির্মিত আধা পাকা শৌচাগারের নিচের মাটি ভেঙে পড়ায় সেটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
চিতারবাজার বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, বাজারের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি হালট ভরাট করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে। ইউএনও স্যার আমাদের মৌখিকভাবে ওই জায়গা ভরাট করতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে বিধি মোতাবেক বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।
ইউএনও মোশারেফ হোসাইন বলেন, সেতুর ২০০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না-এ কথা সঠিক নয়। আর যেখানে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে সেখানে সরকারের প্রয়োজনেই ভরাট করা হচ্ছে।
ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান খান বলেন, সেতুর ৫০০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার বসানো ঠিক নয়। তারপরও নদীর গভীরতা, স্রোতের অনুকূল-প্রতিকূলের ওপরও ড্রেজার বসানোর দূরত্বের বিষয় নির্ভরশীল।