শ্রীপুরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেছেন প্রবাসী মো. বিল্লাল হোসেন। তাঁর অভিযোগ নগদ টাকা ও জমি লিখে না দিলে স্ত্রী সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর ৩ ধারায় আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. বিল্লাল হোসেন শ্রীপুর পৌরসভার দারগারচালা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দুই যুগের বেশি সময় ধরে প্রবাসে থেকেছেন। অভিযুক্ত স্ত্রী মাসুদা খাতুন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভখাঁ গ্রামের আ. ছালামের মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মাসুদা খাতুনের ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর বিল্লাল হোসেন প্রবাসে চলে যান। এরপর থেকে নিজের উপার্জনের সব অর্থ অভিযুক্তকে পাঠাতেন। কয়েক মাস আগে প্রবাসী বিল্লাল হোসেন বাংলাদেশে এসে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রীকে আনতে গেলে নানা রকম তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে পামের ভালুকা উপজেলার ২০ লাখ টাকা মূল্যের জমি লিখে দিলে তাঁর সংসার করবে বলে জানান এবং তাকে নগদ ৫ লাখ টাকা নগদ দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে স্বামীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
অভিযুক্ত মাসুদা খাতুন বলেন, ‘তিনি মামলা করলে আদালতে জবাব দেব। স্বামীর বাড়ির ভাত খেতে অনেক সময় বউদের এ রকম করতে হয়।’ টাকা আর জমি লিখে দেওয়ার চাপ সৃষ্টির বিষয়ে সঠিক জবাব দেননি তিনি।
ভুক্তভোগী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সারা জীবনের সঞ্চয় স্ত্রীকে দিয়েছি। সে আমার টাকা দিয়ে বাবার বাড়িতে জমাজমি কিনেছে। সে পরিষ্কার জানিয়েছে টাকা আর জমি লিখে দিলে সংসার করবে। এ জন্য ন্যায় বিচার চাইতে আদালতে মামলা করছি। আশা করি বিচার পাব।’
গাজীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী রেদোয়ান আল রুমান বলেন, ‘স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত। তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করি ভুক্তভোগী আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন।’