সেলিম সুলতান সাগর, চিতলমারী (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়া বিদ্যাপুকুরে বিভিন্ন ৩৩ দেব-দেবীর মূর্তির সমন্বয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মায়ের আঁচল পূজা কমিটি ব্যতিক্রমী এ পূজার আয়োজন করে। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই এ পূজা দেখতে চরডাকাতিয়া বিদ্যাপুকুর এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণী অর্চনা হয়। পূজায় ভক্ত-দর্শনার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়।
মায়ের আঁচল পূজা কমিটি জানায়, ২০১৬ সাল থেকে এলাকার ৪২ জন তরুণ এই পূজা পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে এই বিদ্যাপুকুরের সরস্বতী পূজার সুনাম আশপাশের জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। পূজার দিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন।
এ পূজার মূল আকর্ষণ হলো কমিটির সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পুকুরের মধ্যে বেদি তৈরি করে বিভিন্ন দেব-দেবীর ৩৩টি মূর্তি দিয়ে পূজা করা। এসব মূর্তির মধ্যে বিদ্যার দেবী সরস্বতী, রাধা-কৃষ্ণ, শিব, লক্ষ্মী-নারায়ণ, কার্তিক, রাম-সীতা অন্যতম।
পূজার দুই মাস আগে থেকে সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমে চলে মূর্তি তৈরির কাজ। মূর্তির কাঠামো তৈরি, রং করাসহ যাবতীয় কাজ নিজেরা করেন। পূজা উপলক্ষে তিন দিন ধরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও এ বছর করোনার নিষেধাজ্ঞার কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাণী অর্চনা হয়েছে।
মায়ের আঁচল পূজা কমিটির সভাপতি মিলন কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বিদ্যাপুকুরের সরস্বতী পূজা এলাকার একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এ পূজা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম একটি পূজা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।