নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইংল্যান্ডের অনেকে তানভীর আহমেদকে ডাকেন ‘ক্রিকেটের বাঁশিওয়ালা’ বলে। তাঁকে নিয়ে গত বছর আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল। গত এক বছরে তানভীরের অর্জনের খাতায় যোগ হয়েছে আরও কিছু মণিমুক্তা। কদিন আগে তিনি উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে বলছিলেন, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে কোচিংয়ের লেভেল-থ্রি শেষ করেছেন। হয়েছেন ‘কমিউনিটি হিরো’ও।
ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যে কাজ করছেন, দেশটির সেরা কোচ হিসেবে কয়েকটি পুরস্কারও হাতে তুলেছেন বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে উঠে আসা তানভীর। ৭ বছর ধরে লন্ডন টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের কোচ তিনি। স্কুল পর্যায়ে কোচিং শুরু করে এখন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদেরও দেখভাল করছেন।
কাউন্টি ক্রিকেটের অনূর্ধ্ব-১০ থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-২১ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেন তানভীর। তাঁর কাজে মুগ্ধ খোদ ইসিবিও। প্রথম বাংলাদেশি কোচ হিসেবে ২০২২ সালে তাঁর অর্জন ছিল মিডলসেক্স কোচিং অ্যাওয়ার্ড ‘কোচ অব দ্য ইয়ার’ ও ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ‘কোচ অব দ্য ইয়ার’। নিজের অর্জন নিয়ে তানভীর আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘যত কাউন্টি আছে, সেগুলোর সেরা সেরা কোচের কার্যক্রম দেখে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।’
তানভীর এরই মধ্যে অর্জন করেছেন ইংল্যান্ডের ‘প্রাইড অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। তিনি জিতেছেন কমিউনিটি হিরোর পুরস্কারও। পুরস্কারটি নিয়ে বললেন, ‘ইংল্যান্ডের কমিউনিটি হিরো পুরস্কারটা হচ্ছে, দেশের সবাইকে ভোট দিতে বলা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ ভোটে আমি কমিউনিটি হিরো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। পুরো ইংল্যান্ডে কমিউনিটি হিরো কে, সেটি ঠিক করতেই আসলে এই ভোট।’
তানভীর জানালেন, কোচিংয়ে ইংল্যান্ডে যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, সব তিনি কাজে লাগাতে চান দেশেই। স্বপ্নভরা চোখে বললেন, ‘দেশে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কাউকে শেখাতে হলে ছোট থেকেই শেখাতে হয়। তাকে মানসিকভাবে সেভাবে গড়ে তুলতে হয়।’
শুধু খেলোয়াড়দের নয়, দেশের কোচ গড়ে তোলার কাজও করার ইচ্ছে তানভীরের, ‘বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের শেখানোর ইচ্ছে আমার। আমাদের কেন দরকার বিদেশি কোচ? আর কেনই-বা আমাদের কোচদের দেশের বাইরে পাঠানো হয় না উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে? তাদেরকে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো যায় অন্তত লেভেল-টু করতে।’