বিনোদন ডেস্ক
নিজের লেখা বইয়ের নাম বদলাবেন না, কারণ কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর—আদালতে এমনটাই জানালেন কারিনা কাপুর খান। গত মে মাসে একটি আইনি নোটিশ পান অভিনেত্রী। আপত্তি ওঠে তাঁর ‘দ্য প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইটির নাম নিয়ে। মধ্যপ্রদেশের এক আদালতে কারিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন ক্রিস্টোফার অ্যান্থনি নামের এক আইনজীবী। কারিনার বইয়ের নাম পাল্টানো ও বইটির বিক্রি নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানান তিনি।
ওই আইনজীবীর অভিযোগ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে বাইবেল নামটি খুবই পবিত্র। বাইবেলের নামটি নিজের অন্তঃসত্ত্বার গল্পের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অসম্মানিত করেছেন কারিনা। অভিযোগটি প্রথমে নিম্ন আদালত খারিজ করে দেন। কারণ, কারিনার বইটি কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে, সেটা ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হন ওই আইনজীবী।
পরে এডিশনাল সেশন কোর্টের দ্বারস্থ হন ক্রিস্টোফার, কিন্তু সেখানেও অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। এরপরও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। ২০২১ সালে একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের একটি থানায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ করেন।
২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কারিনার লেখা বইটি, যেখানে প্রথমবার মা হওয়ার কাহিনি তুলে ধরেছিলেন তিনি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আদালতে লড়ছেন কারিনার আইনজীবী দিব্যা কৃষ্ণা ও নিখিল ভাট। তাঁদের মাধ্যমে কারিনা আইনি নোটিশের জবাবে বলেছেন, বইয়ের নাম তিনি পাল্টাতে চান না। বইয়ের নামে বাইবেল শব্দটির ব্যবহার কারও অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, এমনটাই জানানো হয়েছে অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে। ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।