এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বিশ্বে করোনা সংক্রমণ প্রায় ৭১ শতাংশ বেড়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক তেদরস আধানম গেব্রিয়াসুস। ওমিক্রনে আক্রান্তদের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও ধরনটিকে ‘দুর্বল’ বলতে নারাজ তিনি।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ এশিয়ার দেশে দেশে সংক্রমণের হার বাড়া সত্ত্বেও ভাইরাসটি নিয়ে বিধিনিষেধে পশ্চিমা ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর মধ্যে আলাদা কৌশল দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, নভেম্বরে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ হুড়োহুড়ি করে কঠোর পদক্ষেপের দিকে ঝুকে। ক্রমেই সংক্রমণ বাড়া সত্ত্বেও পরে তারা এ অবস্থা থেকে সরে আসে। তা ছাড়া ভাইরাসকে সঙ্গী করে কীভাবে স্বাভাবিক জীবন চালানো যায়, সেদিকে তাদের মনোযোগ বাড়াতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে হংকং, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিধিনিষেধ কঠোরতর করেছে। হংকং ও চীন ভাইরাস রোধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ কোনো অঞ্চলে একটি করোনা রোগী শনাক্ত হলেই সেখানে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।
ভাইরাসের একই ধরন নিয়ে বিশ্বের দুই অঞ্চলের দুই ধরনের কৌশল নিয়ে সিঙ্গাপুরের আইএসইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের জয়ন্ত মেনন বলেন, ‘লাভ ক্ষতির হিসাবে এশিয়ার সরকারগুলোর কঠোর নীতিকে কোনোভাবেই মানা যায় না। তারা নিজেদের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা ঢাকতে এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ, এ ধরন ডেলটার চেয়ে কয়েক গুণ দ্রুত ছড়ালেও এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণায় ওমিক্রন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানানো হয়েছে। তাই এসব পদক্ষেপ অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং নৈতিকভাবে দেউলিয়াত্ব ছাড়া কিছু নয়।’