নাটোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও সিংড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়া, ছিঁড়ে নষ্ট করা এবং কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাতারদিঘী ইউপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাব হোসেন ও সুকাশ ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আশীক ইকবাল। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে ছাতারদিঘী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাব হোসেনের ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাঁর কর্মী সজিব মণ্ডলকে প্রাণনাশের হুমকি দেন নৌকার প্রার্থীর কর্মী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শামিম হোসেনসহ আরও কয়েকজন।
এদিকে শুক্রবার সুকাশ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজার এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী আশীক ইকবালের আনারস প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এর ওপর পা রেখে উল্লাস করেন নৌকার কর্মী আব্দুল আজিজ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল। তাঁরা আনারস প্রতীকের পোস্টার কোথাও সাঁটাতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
ছাতারদিঘী ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন, তাঁর পাঁচ শতাধিক পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। একডালা ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পোস্টার ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়েছে। প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রচার চালাতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সুকাশ ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আশীক ইশবাল বলেন, ‘আমার জয় সুনিশ্চিত বুঝতে পেরে নৌকার কর্মীরা প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। তাঁরা পোস্টার ছিঁড়ে নষ্ট করছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
তবে অভিযুক্ত ছাতারদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শামিম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ছাতারদিঘী ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।