Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জোকোভিচের চোখ তেইশে

ক্রীড়া ডেস্ক

জোকোভিচের চোখ তেইশে

সেরেনা উইলিয়ামসের ক্ষেত্রে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল টেনিসপ্রেমীদের। স্টেফি গ্রাফের ২২ ছোঁয়া কিংবা তাঁকে ছাড়িয়ে ২৩-এ পা রাখতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সেরেনাকেও। পরের লক্ষ্য মার্গারেট কোর্টের ২৪ ছোঁয়ারও আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন টেনিসের মার্কিন কন্যা। সময়ের হিসাবে প্রায় পাঁচ বছর আর টুর্নামেন্টের সংখ্যায় ১৫টি গ্র্যান্ড স্লাম খেললেও সেরেনার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন মার্গারেট।

রেকর্ড ছোঁয়া কিংবা নতুন রেকর্ড গড়ার মুখে শম্বুকগতির সেরেনার ঠিক বিপরীত নোভাক জোকোভিচ। এক্সপ্রেসের গতি তাঁর! এই পাঁচ বছর আগেও বিশ্ব টেনিস যখন রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদালে বুঁদ, কেউ-ই কল্পনাও করতে পারেনি, পরের পাঁচ বছরেই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন নোভাক জোকোভিচ। ২০১৮ সালের শেষে সার্বিয়ান তারকার গ্র্যান্ড স্লাম সংখ্যা ছিল ১৪। ওই সময় ফেদেরার আর নাদালের ছিল ২০ ও ১৮টি। সেই জোকোভিচের নামের পাশে এখন ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। আর যে গতিতে শিরোপার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছেন, তাতে সেরেনার খেলা শেষের ওই নিষ্ফলা ১৫টি গ্র্যান্ড স্লামের সমান টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ হলে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডটিকে অনন্য উচ্চতায় তুলবেন জোকোভিচ। সেটি ২৬, ২৮ কিংবা তারও বেশি হতে পারে!

সংখ্যাকে যে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে না, সেটি গ্র্যান্ড স্লামে জোকোর উচ্ছ্বসিত পারফরম্যান্স প্রমাণ করে। তাঁর খেলা সবশেষ ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালের ২০টিতেই জিতেছেন জোকোভিচ। ১৭ ফাইনালে জিতেছেন ১৪টিতেই। তাঁর যে ফর্ম আর ফিটনেস, তাতে কম করে হলেও আরও তিন বছর খেলতে পারবেন জোকোভিচ। তাহলে পরের তিন বছরে তাঁর অর্জন কী হবে, সে হিসাব মোটাদাগে কষতে পারেন আপনিও।

তবে দূরের কোনো সংখ্যা নয়, জোকোভিচের চোখ ২৩-এ। আজ ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে জিততে পারলেই গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার এই অঙ্কে পা রাখবেন, ছুঁয়ে ফেলবেন নাদালকে। তাঁর এই সম্ভাব্য ২৩-এর পথে আজ কাঁটা ক্যাসপার রুড। ২৪ বছর বয়সী এই নরওয়েজিয়ান প্রতিযোগী এরই মধ্যে দুটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলে ফেলেছেন। আজকেরটি তাঁর তৃতীয় ফাইনাল। রোঁলা গারোয় গতবারও ফাইনালে উঠেছিলেন। হেরে গিয়েছিলেন ক্লে কোর্টের রাজা নাদালের কাছে। সে ফাইনাল মনে করে রুড বললেন, ‘এটাও কঠিন হতে যাচ্ছে। গত বছর রাফার বিপক্ষে ছিল। এই বছর নোভাক, তো আর কী বলা যায়? আশা করি তৃতীয় ফাইনালটা আমার জন্য দুর্দান্ত হবে।’

ক্লে কোর্টে নাদালের মতো শাণিত নন জোকোভিচ, কিন্তু সার্বিয়ান তারকার বড় শক্তি এই, তিনি সব কোর্টেই সবাইকে হারাতে পারেন।ফেদেরারের স্বস্তির জায়গা যেমন ছিল উইম্বলডন, নাদালের যেমন ফ্রেঞ্চ ওপেন; জোকোর তেমন কোনো স্বস্তির জায়গা নেই। হার্ড কোর্ট থেকে ক্লে-কোর্ট কিংবা ঘাসের কোর্ট—সবখানেই নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারেন জোকোভিচ। আর ‘যিনি পারেন’, তাঁর রেকর্ড নিয়ে ভাবা লাগবে কেন? ফাইনালের আগে সার্বিয়ান তারকা জানিয়ে দিলেন রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না, ‘একটা কথা আপনাকে বলতে পারি (নিজের কাজ নিয়ে), আমি খুব মনোযোগী। ইতিহাস তো সব সময় আমার অপেক্ষাতেই থাকে।’

পেশাদার সার্কিটে ক্যাসপার রুডের সঙ্গে এর আগে চারবার সাক্ষাৎ হয়েছে জোকোর। চারবারই জিতেছেন সার্বিয়ান তারকা। একটা সেট পর্যন্ত জিততে দেননি রুডকে! রুডের বিপক্ষে বরাবরই রুদ্র মূর্তিতে জোকোভিচকে দেখা গেলেও নরওয়েজীয় প্রতিযোগী বড় শক্তি ক্লে কোর্ট। ২০২০ সালের পর ক্লে কোর্ট সবচেয়ে বেশি ৮৭টি ম্যাচ জিতেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি ১২টি ফাইনাল খেলেছেন, সবচেয়ে বেশি ৯টি শিরোপাও জিতেছেন। ফাইনালের মতো একটা ফাইনাল আজ আশা করা যেতেই পারে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি